মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী মহোদয়ের বাণী

সবুজ শ্যামল অপরূপ বাংলার স্মরণাতীত কাল হতেই একটি ঐতিহ্যমন্ডিত এলাকার নাম চট্টগ্রামের রাউজান। নদী-বিধৌত নৈসর্গিক প্রকৃতির কোলে উপমহাদেশের বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মাস্টারদা সূর্যসেনের স্মৃতিবিজড়িত অঞ্চল। এছাড়া মধ্যযুগের যশস্বী কবি হামিদ আলী, জাতীয় জাগরণের কবি নবীন সেন,  অনেক খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও হযরত আশরাফ শাহ(রা:) এর মতো মহান আধ্যাত্মিক সাধকজনের সাধনার ক্ষেত্র এই পূণ্যভূমি রাউজান। রাউজানের অতীত গৌরবময় সত্ত্বাকে হৃদয়ে ধারণ করে, দেশ ও জাতি গঠনের  অঙ্গীকারকে মননে লালন করে, জ্ঞানের আলোকবর্তিকা হাতে এগিয়ে এসে এ অঞ্চলের গণমানুষের কল্যাণকামী সিপাহসালার মরহুম আলহাজ্ব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী ১৯৬৩ সনে একটি উচ্চ শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠার ভিত রচনা করেন। তাঁদের তিল তিল করে গড়ে তোলা অনবদ্য স্বপ্নের ফসল আজকের এই রাউজান সরকারি কলেজ।  গৌরবের সুবর্ণজয়ন্তী পাড়ি দিয়ে  এ প্রতিষ্ঠান আজ শতাব্দীর অভীমুখে ধাবমান। শিক্ষা-শৃঙ্খলা-নৈতিক মূল্যবোধের হাত ধরে বিগত কালে এ প্রতিষ্ঠান জাতিকে উপহার দিয়েছে দক্ষ - সুপ্রতিষ্ঠিত-যোগ্য নাগরিক।  
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু তনয়া,  জননেত্রী শেখ  হাসিনার চৌকশ ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে দেশকে উন্নত বিশ্বে পরিণত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ কলেজের শিক্ষার্থীরা এমন অভাবনীয় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের খাদ্য-চিকিৎসা-পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতকে স্বাবলম্বী করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমি রাউজান সরকারি কলেজের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
এ.বি.এম.ফজলে করিম চৌধুরী
জাতীয় সংসদ সদস্য,২৮৩, চট্টগ্রাম -৬, (রাউজান) 

সভাপতি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি,বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, ঢাকা।